
সেনাবাহিনীর মহড়ায় প্রশিক্ষণ শেষে বন্ধুর সাথে গোসল করতে নেমে নিঁখোজ সেনাসদস্য আসিফ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সের ডুবুরিরা।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার এলাকার সাঙ্গু নদী হতে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা।
আসিফকে উদ্ধারের পর সময় নদীপাড়ে অপেক্ষমাণ শত শত মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমদ জানান, ‘সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সহকর্মীর সঙ্গে গোসল করতে নামেন বিএমএর ক্যাডেট আসিফ। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালায়। এর সঙ্গে যোগ দেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ডের টিম। মঙ্গলবার বেলা ১১ টা ৫৫ মিনিটে আমাদের একজন ডুবুরি মরদেহটি খুঁজে পান। মরদেহ উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।’
নিখোঁজ সেনা সদস্য আসিফ হোসাইন নিশান চট্টগ্রামের মিরশরাই গ্রামের আনোয়ারুল হকের একমাত্র পুত্র। সে বিএমএ ক্যাডেট হিসেবে এবারের প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছেন। তাঁর পিতা আর্মির ইউডিসির রের্কড শাখার কর্মকর্তা। আসিফ পরিবারের সঙ্গে নগরীর হালিশহরে থাকতেন।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় শঙ্খ নদীতে নেমে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণার্থী এক ক্যাডেট নিখোঁজ হয়েছেন। তাকে উদ্ধারে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের টিম তল্লাশি চালাচ্ছে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সেনাবাহিনীর ওই ক্যাডেট উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ এলাকায় নদীতে নামেন বলে জানিয়েছেন আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ।
নিখোঁজ আসিফুল ইসলামের (১৯) বাড়ি চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জে। সীতাকুণ্ডে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে তিনি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন।
নগরীর আগ্রাবাদে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আনোয়ারার বারখাইনে এরশাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ ক্যাম্প চলছিল। সেখান থেকে জানানো হয়, তাদের একজন ক্যাডেট বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে শঙ্খ নদীতে নেমে নিখোঁজ হয়েছেন।
ইউএনও শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, সম্ভবত গোসল করতে নামার পর তিনি ঢেউয়ের মধ্যে তলিয়ে যান। ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি।