• সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাড়ছে রোগীর চাপ, নেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সেন্টমার্টিন উন্মুক্ত আজ থেকে সাড়া নেই পর্যটকদের নীতিনির্ধারণে নমনীয়তা ও নাগরিক দায়িত্বের ওপর প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ সীতাকুণ্ডে আলোচিত ভাবির হোটেলে অভিযান, ১০ হাজার টাকা জরিমানা চট্টগ্রামের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাইফুল ইসলাম মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর টার্মিনালের প্রাক্-প্রস্তুতির পূর্তকাজ আরম্ভ চট্টগ্রামের রাউজানে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত চট্টগ্রামে ব্যানার ছেঁড়া নিয়ে যুবদলের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ১০ জন বিমানবন্দরে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম মীরসরাই বাসীর ভাগ্য পরিবর্তনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী….. পারভেজ সাজ্জাদ

ইপিজেড-বন্দর-পতেঙ্গায় হিউম্যান হলার, ট্রাক কাভার ভ্যান ও অটোরিক্সায় নেতা-ট্রাাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

Reporter Name / ৪৬১ Time View
Update Time : সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন

ইপিজেড প্রতিনিধি:

পতেঙ্গার কাটগড় মোড় হতে কন্টোল মোড় রাজার পুকুরপাড় গাডরুম ধুমপাড়া মুসলিমাবাদ এলাকায় তিনজন বিএনপি’র নেতা কে মাসোহারা দিয়ে অবৈধ টমটম কে বৈধতার পারমিশন দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে,ট্রাফিক বিভাগের নজরে থাকলেও নিচ্ছে না কোন আইনগত ব্যবস্থা।

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানার ৪০ নং ওয়ার্ড’ কাটগড় এলাকায় বিএনপির কিছু নামধারী নেতাদের দখলে ব্যাটারি চালিত টমটম এমন একটি অভিযোগ উঠেছে বিএনপি’র তিন নেতার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে টমটম চালকদের কাছে জানতে চাইলে টমটম চালকরা সংবাদমাধ্যম কে বলেন,কাটগড় এলাকায় টমটম রয়েছে ৩শত ও ম্যাক্সিমা রয়েছে ৫টির মতো, মোট তিনশত পাঁচটির অধিক গাড়ি রয়েছে, টমটম থেকে দিনদৈনিক চাঁদা উত্তোলন করছেন ৩০ টাকা,এছাড়া এস পাওয়ার গাড়ি থেকে চাঁদা উত্তোলন করছেন ৪০ টাকা।বর্তমানে বিএনপির পদ পদবী ছাড়া নেতাদের কে দিতে হয় এসব টাকা।

চালকরা আরও বলেন,দৈনিক ৩০ ও ৪০ টাকা ও না দিলে গাড়ি চালানো দিবে না।প্রতিমাসে চাঁদার টাকা থেকে কাটগড়ের টি আই কে ভাগ দেয় কি না তা জানি না। আওয়ামিলীগ সরকার থাকা অবস্থায় চাঁদা দিয়ে গাড়ি চালিয়েছি,বর্তমানেও বিএনপির পদ পদবী ছাড়া নেতাদের কে চাঁদা দিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে বলে জানান চালকরা। এ বিষয়ে  স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যম কে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ১৯ ও ২০ নং রোডে সরকারী সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আবারও চালক-মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা সেন্ডিকেট করে ব্যাটারি চালিত টমটম,,ম্যাক্সিমা চালাতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। বিগত ৫ই আগস্টের পর থেকে কাটগড়ের রোড গুলোতে অবৈধভাবে চলাচল করছে ব্যাটারি চালিত টমটম ও ম্যাক্সিমা।

অন্যদিকে ৩৮নং ওয়ার্ডের ইপিজেড, ফ্রি-পোর্ট, কলসী দিঘীর মোড় থেকে আনন্দ বাজার হালিশহর সড়কে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারী চালিত অবৈধ অটোরিক্সা কাগজপত্র বিহীন গ্রাম সিএনজি অটো টেম্পু। এ বিষয়ে, নগরীর ইপিজেড-বন্দর-পতেঙ্গায় হিউম্যান হলার অটোরিক্সা ট্রাক কাভার্ডভ্যানে চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়বাসী।

অন্যদিকে, চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি নিয়েও ভুক্তভোগী গাড়ীর চালকরা আজকালের দর্পণকে অভিযোগ করেছেন। নাম প্রকাশে স্বই”ছায় ট্রাক চালক মোঃ আবদুল মতিন জানান, সম্প্রতি আগস্ট মাসে ইপিজেড এলাকায় রাস্তায় খোড়াখুড়ির কারণে আমার গাড়ী ধীরগতিতে চলায় ট্রাফিক পুলিশ আমাকে দাঁড়ানো সিগনাল দেয়, কিন্তু আমার গাড়ীর চাকা গর্তে পড়ে যাওয়ায় তা আমি ট্রাফিকের নির্দেশনা খেয়াল করতে না পারায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ ক্ষীপ্ত হয়ে আমার উপর বেজায় চড়াও হয় এবং আমার কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও তিনি আমার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা দাবী করে। আমি টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় আমার গাড়ী মামলা করে দেয়। অন্যদিকে ওয়াহিদুল আলম নামক এক ট্রাক চালক বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা ইপিজেড এলাকায় গাড়ী নিয়ে আসলে আতংকের মধ্যে থাকতে হয়। গাড়ীর কাগজপত্র সঠিক থাকলেও ট্রাফিক পুলিশের আবদার রাখতে পারলেও তারা অযৌক্তিক নিয়ম ভঙ্গের কারণ দেখিয়ে তারা গাড়ী ট্যু করে দেয়।

এভাবে আমরা প্রতিনিয়ত হয়রানির স্বীকার হয়ে আসছি। শুধু তাই নয়, ইপিজেড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের অযৌক্তিক বাড়াবাড়ির কারণে দুর পাল্লার যাত্রীবাহী গাড়ী থেকে শুরু করে বিমানবন্দর সড়কে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ১৮০টির অধিক চার চাকার গাড়ী পুলিশ কন্ট্রাকের মাধ্যমে রাস্তায় দাফিয়ে বেড়ালেও দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশরা এগুলো দেখে না।

তবে অন্যদিকে অপর ট্রাক চালক আমিনুল ইসলাম স্বীকার করেছেন, গাড়ীর কাগজপত্র কোন কিছু সঠিক না থাকলেও ট্রাফিক পুলিশের সাথে মাসিক কন্ট্রাক থাকলে রাস্তায় নিয়ম ভঙ্গ করে গাড়ী চালালেও এ বিষয়ে কোন প্রকার মামলা মোকদ্দমা বা গাড়ী ট্যু হয় না বলে তিনি স্বীকার করেন। এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার ট্রাক চালক শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার গাড়ীর কাগজপত্র না থাকলেও গাড়ীর মালিক দায়িত্বরত সার্জেন্টদের বসের সাথে মাসিক কন্ট্রাক করায় গাড়ী চালাতে কোথাও কোনপ্রকার সমস্যা পড়তে হয় না।

এভাবেই চলছে কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ট্রাফিক পুলিশের দিক নির্দেশনা। উল্লেখ্য যে, ২০২৪ ইং সালের ৫ আগস্টের পূর্বে ইপিজেড চৌধুরী মার্কেটের বিপরীতে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের চাঁদাবাজি নিয়ে আজকালের দর্পণ পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর তৎকালীন দায়িত্ব ট্রাফিক কর্মকর্তাদের টনক নড়লেও বর্তমানে একই স্থানে দায়িত্বরা আরো বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছে বলে আজকালের দর্পণ ব্যাপক অভিযোগ হস্তগত হয়েছে। যা নিয়ে আগামীতে প্রকাশিত হবে বিশেষ প্রতিবেদন……।

¯’ানীয়রা আরও বলেন, এসব অবৈধ টমটম মূল সড়ক চলাচলের কারণে নানা দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে, ¯’ানীয় নামধারী বিএনপির পাতি নেতারা নানা ভাবে চাঁদা উত্তোলন করে অবৈধ গাড়ি কে বৈধতা করে মহা সড়কে চালানোর পারমিশন দি”েছন এসব নেতারা। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই প্রতিটি জায়গায় পদ পদবী ছাড়াই চাঁদাবাজি লুটপাট শুরু করেছে এরা।এসব চাঁদাবাজদের চেয়ে আওয়ামিলীগ সরকার হাজার গুনে ভালো ছিল বলে জানান স্থানীয়রা।

এসব নামধারী কিছু বিএনপির পাতি নেতাদের কারণে প্রতিটি জায়গায় মানসম্মান নষ্ট হচ্ছে বিএনপির। এসব  নেতাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী। খবর নিয়ে জানা গেছে এসব বিএনপি নেতাদের নেই কোন পদ পদবী,বিএনপির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে চাঁদাবাজির সাথে লিপ্ত হয়েছেন।

চাঁদাবাজির ব্যাপারে লাইনম্যান জসিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করুন, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি জানি না আপনি সেলিম এর সাথে যোগাযোগ করুন,সেলিম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও বলেন,আমি জানি না,আপনি বিএনপি নেতা হাকির এর সাথে কথা বলেন,এবিষয়ে হাকির এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনিও বলেন,আমি তো জানি না আপনারা আমার ভাগ্নে সাংবাদিকের সাথে কথা বলুন,কাটগড় এলাকায় টমটমের লাইনটি বর্তমানে দেখাশুনা করছেন ঐসাংবাদিক বলে জানান বিএনপি নেতা হাকিম।

চাঁদাবাজি ব্যাপারে বিএনপির নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমি দেখতেছি,আমাকে একটু সময় দিন, । এবিষয়ে ঐসাংবাদিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,হাকিম নামে আমি কাউকে চিনি না,কে বা কাহাড়া আমার নাম বিক্রি করছে, আমি তো তাও জানি না বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে পতেঙ্গার টিআই সেলিম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদমাধ্যম কে বলেন,আপনার ফোন পেয়েছি,আমি এখন গিয়ে মামলা দিব,এবং কতটা গাড়ি মামলা দিতাছি,তাও আপনার কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি বলে জানান তিনি। তথ্য সূত্রে জানা গেছে এসব নেতারা কোথাও বেজে গেলে নামীদামী সাংবাদিকদের নাম ব্যবহার করেন।

বর্তমানে মুলধারার রাজনৈতিক নেতারা কখনো কোথাও চাঁদাবাজি বা নাম ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। তথ্য সূত্রে আরও জানা গেছে,কাটগড় টু কন্টোল মোড় এলাকায় অবৈধভাবে তিনটি গ্রুপ দিয়ে লাইনটি চলাচল করছে। ৩৮,৩৯,৪০,ও ৪১নং ওয়ার্ডের বিএনপির নেতাদেরে সাথে বিষয়টি অবগত করলে নেতাকর্মীরা বলেন,আপনরা যাদের নাম বলেছেন,আমরা তাদেরকে চিনি, তবে এসব অবৈধ কাজে যারা জরিত রয়েছে আমরা তাদের সাথে নেই,আমরা বিগত আগেও ফেয়ার রাজনীতি করে আসছি বর্তমানেওআমরা ফেয়ার রাজনীতি করে আসছি,চাঁদাবাজি বিএনপি কখনো পছন্দ করে না এবং ভবিষ্যতেও করবে না।যারা অপকর্ম করবে তাদের বিরুদ্ধে আপনারা নিউজ প্রকাশিত করবেন। চলবে/////….


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *