• সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাড়ছে রোগীর চাপ, নেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সেন্টমার্টিন উন্মুক্ত আজ থেকে সাড়া নেই পর্যটকদের নীতিনির্ধারণে নমনীয়তা ও নাগরিক দায়িত্বের ওপর প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ সীতাকুণ্ডে আলোচিত ভাবির হোটেলে অভিযান, ১০ হাজার টাকা জরিমানা চট্টগ্রামের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাইফুল ইসলাম মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর টার্মিনালের প্রাক্-প্রস্তুতির পূর্তকাজ আরম্ভ চট্টগ্রামের রাউজানে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত চট্টগ্রামে ব্যানার ছেঁড়া নিয়ে যুবদলের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ১০ জন বিমানবন্দরে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম মীরসরাই বাসীর ভাগ্য পরিবর্তনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী….. পারভেজ সাজ্জাদ

পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার চিরকুটে লেখা ‘ঋণ আর খাওয়ার অভাবে আমরা মরে গেলাম’

Reporter Name / ৫০২ Time View
Update Time : সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন

 অনলাইন ডেস্ক :

রাজশাহীতে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মিনারুল ইসলাম তার স্ত্রী-সন্তানদের মেরে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। এসময় মিনারুলের মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। যাতে লেখা- ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে, খাবারের অভাবে’।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে পবার বামুনশিকড় এলাকায় একটি বাসা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী মনিরা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) ও দেড় বছর বয়সী মেয়ে মিথিলা।

পুলিশ বলছে, মিনারুল স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে, মেয়েকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন।

উদ্ধার করা চিরকুটে লেখা রয়েছে- ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে, আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলে-মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো। কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’

স্থানীয়রা জানান, মিনারুল একসময় জুয়া খেলতেন ও মাদকাসক্ত ছিলেন। এতে তিনি অনেক টাকা ঋণ করেন। সম্প্রতি বাবার জমি বিক্রি করে ঋণ কিছুটা শোধ করলেও আর্থিক সংকটে ছিলেন। অনেক সময় দুবেলা খাবার জুটতো না।

রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছে পুলিশ।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *