নিজস্ব প্রতিবেদক:
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জাকের পার্টি চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে চট্টগ্রামস্থ পাহাড়তলী থানার অলংকার সাগরিকা মোড়ে ৬ অক্টোবর জাকের পার্টি চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ আয়োজনে এক আলোচনা সভা, সমাবেশ, দোয়া মাহফিল ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মোঃ নিজাম উদ্দীন নাছির, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি, জাকের পার্টি, চট্টগ্রাম বিভাগ ও সভাপতি চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর জাকের পার্টি। উক্ত সভা সমাবেশ র্যালী ও মিলাদ মাহফিলে বক্তারা বলেন, দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বানে দেশব্যাপী জাকের পার্টির ইউনিয়ন জনসভা ও র্যালী কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে জনসভা শেষে জনজীবনে স্বস্তি, সুখ, শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। জনসভাগুলোতে জাকের পার্টি, সহযোগী সংগঠনসমূহ, মহিলা ফ্রন্ট ও ছাত্রী ফ্রন্টের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা চলমান পরিস্থতি বিশেষ করে জনজীবনে সৃষ্ট অস্থিরতা, শঙ্কা ও অনিশ্চয়তা নিরসনে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস, ধৈর্য ও সহনশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। নেতৃবৃন্দ গতিশীল অর্থনীতি গড়ে তোলা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য খেটে খাওয়া মানুষের নাগালে রাখা, জননিরাপত্তা, আইনের শাসন ও যথাযথ বিচার নিশ্চিত করার অপরিহার্যতার ওপর জোর দেন। তারা জনগণকে একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় নিজেদের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দেন।
জনসভা শেষে প্রতিটি ইউনিয়নে সচেতনতামূলক নানা স্লোগানসহ র্যালী বের করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য- আলহাজ্ব ইয়াকুব আলী চৌধুরী, সহ-সম্পাদক-ইঞ্জি: আইয়ুব আলী হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক, এস.এম বেলাল হোসেন, সহ-সভাপতি-মিয়াসাদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহাগরের সাধারণ সম্পাদক- এস.এম শাহজাহান, চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক- মোঃ সালাউদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগরের অর্থ-সম্পাদক- মোঃ আরমান উল্লাহ্, দপ্তর সম্পাদক- মোঃ মঈনুদ্দীন রাজু, চট্টগ্রাম মহানগরের মহিলা ফ্রন্ট সভাপতি- মিসেস দিলরুবা বেগম জয়াসহ প্রমূখ।
এ সময় সভার সভাপতিত্ব করেন মোঃ নিজাম উদ্দীন নাছির বলেন, আমরা কোন দলের সাথে নয়, কিংবা আমরা কোন শরীক দল নই, আমরা বাংলাদেশের সকল জনগণের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই। র্যালীটি বাদে আসর সাগরিকা রোড হয়ে অলংকার একেখান পদক্ষিণ করে সাগরিকা নিজস্ব সভা সমাবেশস্থলে এসে র্যালীটি শেষ হয়। পরবর্তীতে সভাপতি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে উপস্থিত সকল নেতাকর্মী দূরদূরান্ত থেকে আগত সকল কর্মী ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। শেষে মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম পরিসমাপ্তি ঘটে।
এদিকে, আসমানী শান্তি, কল্যাণ ও শ্বাশত সাম্যের তরী জাকের পার্টি। গতানুগতিক ধারার বাইরে প্রক…ত ইসলামের উদারনৈতিক মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ, পরমত সহিষ্ণুতা, সকল ধর্ম মত ও পথের মানুষের শান্তিপূর্ণ এবং সহজাত কর্মমুখর ও গতিশীল জীবন সংস্কৃতির বিকাশই জাকের পার্টির লক্ষ্য। চাইতে বড় কথা, বিভেদ ও অনৈক্যের অবসান ঘটিয়ে ঐক্য ও স্নিগ্ধ শান্তির ঝরণাধারা রচনার কাজই করছে জাকের পার্টি।
মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, সৌভ্রাত্ব আস্থা এবং ভালোবাসার বন্ধন তৈরীর সুরভিত সংস্কৃতি রচনায় বদ্ধপরিকর জাকের পার্টি। এক কথায়, সত্য ও সুন্দরের মহাসড়কে সকলকে যুক্ত করতে জাকের পার্টি কাজ করছে অবিরাম। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বিশ্বের যে কোন প্রান্তরের শান্তিকামী, কল্যাণকামী, মুক্তিকামী, মানবতাবাদী, প্রগতিবাদী, সাম্যবাদী নারী, পুরুষ জাকের পার্টির শ্বাশত বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন।
নিজ জীবনের কল্যাণে জাকের পার্টির আদর্শ ধারায় একাত্ম হতে পারেন। ব্যাক্তি জীবনে আত্মিক পরিশুদ্ধির তরঙ্গ সচল করে কর্মজীবনে তার স্বার্থক প্রতিফলন ঘটিয়ে অনাবিল শান্তির অধিকারী হতে পারেন। জাকের পার্টি রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৯ সালে আত্মপ্রকাশ করে। এর আগে ১৯৮৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাকের সংগঠন নামে যাত্রা শুরু হয়।
বিশ্বের কোটি কোটি স্রষ্টাপ্রেমী ও মুক্তিকামী মানুষের মুর্শিদ বিশ্বওলী হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেব ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে তদীয় হুজরা মুবারকে ১৯৮৯ সালে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (সাঃ) পবিত্র রহমতের সময় জাকের পার্টির ফলক উন্মোচন করেন। রাত শেষে সকালে রাজধানী ঢাকায় লাখ লাখ মানুষের উত্তাল মহাসমুদ্রে পীরজাদা আলহাজ্জ মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী জাকের পার্টির ঘোষণা গোটা দেশ ও বিশ্বকে জানিয়ে দেন।