• সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাড়ছে রোগীর চাপ, নেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সেন্টমার্টিন উন্মুক্ত আজ থেকে সাড়া নেই পর্যটকদের নীতিনির্ধারণে নমনীয়তা ও নাগরিক দায়িত্বের ওপর প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ সীতাকুণ্ডে আলোচিত ভাবির হোটেলে অভিযান, ১০ হাজার টাকা জরিমানা চট্টগ্রামের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাইফুল ইসলাম মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর টার্মিনালের প্রাক্-প্রস্তুতির পূর্তকাজ আরম্ভ চট্টগ্রামের রাউজানে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত চট্টগ্রামে ব্যানার ছেঁড়া নিয়ে যুবদলের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ১০ জন বিমানবন্দরে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম মীরসরাই বাসীর ভাগ্য পরিবর্তনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী….. পারভেজ সাজ্জাদ

পাসের হারের সাথে কমেছে জিপিএ-৫

Reporter Name / ৮৪ Time View
Update Time : সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন

এইচএসসির ফলাফলে ধস চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৯৭ জন

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত এবারের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ধস নেমেছে। এবারের ফলাফলে গতবারের তুলনায় পাসের হার যেমন কমেছে তেমনই জিপিএ–৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। এবার পাসের হার যেখানে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সেখানে গত বছর ছিল পাসের হার ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ। এবার ৬ হাজার ৯৭ জন জিপিএ–৫ পেলেও গত বছর পেয়েছিল ১০ হাজার ২৬৯ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ কমেছে পাসের হার। আর জিপিএ–৫ কমেছে প্রায় ৪ হাজার। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ এবং সচিব এ কে এম সামছু উদ্দিন আজাদ। ঘোষিত ফলাফলে উঠে আসে এসব তথ্য। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ২৮১ টি কলেজের ১ লাখ ২ হাজার ৯৭০ জন। এরমধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ লাখ ১ হাজার ৮৮৮ জন শিক্ষার্থী। ১ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। একজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। বহিষ্কৃতের সংখ্যা ছিল ৩৮ জন। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী এবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১ লাখ ১ হাজার ৮৮৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৩ হাজার ৫৬০ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে পাসের হার ৭০ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর নগরী বাদে চট্টগ্রাম জেলার পাসের হার ৪৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। কঙবাজার জেলায় পাসের হার ৪৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটিতে পাসের হার ৪১ দশমিক ২৪ শতাংশ, খাগড়াছড়িতে ৩৫ দশমিক ৫৩ এবং বান্দরবানে ৩৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার সবচেয়ে বেশি ৭৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৫৫ দশমিক ৩০ শতাংশ ও মানবিক বিভাগে পাসের হার ৩৭ দশমিক শূন্য ৮০ শতাংশ। এবার এক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৪ হাজার ৬৫৪ জন। গতবার ছিল এ সংখ্যা ১৭ হাজার ৬৯৭ জন। এবার ৪ টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। গতবার শতভাগ পাশকৃত কলেজ ছিল ১৩ টি আর এবার ৮ টি কলেজের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। এবারের ঘোষিত ফলাফলকে খুবই খারাপ ফলাফল বলছেন সংশ্লিষ্টরা। বলছেন, শিক্ষাবোর্ড প্রতিষ্ঠার পর গত তিন দশকে এত খারাপ ফলাফল হয়নি।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী বলেন, আগে ওভার মার্কিং করা হতো। এবার সেটি হয়নি। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল। শিক্ষার্থীরা যা লিখেছে, সেটাই মূল্যায়ন করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলন এবং পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহসহ নানা কারণে পড়ালেখার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *