চট্টগ্রাম ব্যুরো:::
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে তিনদিন বাধাগ্রস্ত হওয়া মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের টার্মিনালের প্রাক প্রস্তুতিমূলক পূর্ত কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারের মহেশখালীর প্রকল্প এলাকায় প্রশাসন ও স্থানীয়দের বৈঠকের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং পুনরায় কাজ শুরু করা হয়।
বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (এস্টেট) মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন দৈনিক আজকালের দর্পণকে বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য ২৮৩ একর জমি অধিগ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শুরু হলে অধিগৃহীত একাংশের ১৭টি পরিবার পুনরায় বাসস্থান স্থানান্তর বাবদ অবকাঠামো মূল্যের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ অর্থ দাবি করে। অন্যান্য প্রকল্পে তারা এই অর্থ পেয়েছে বলে দাবি করে। যেহেতু অবকাঠামো মূল্য জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত হয় এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন ২০১৭ অনুযায়ী অধিগ্রহণের কারণে স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তার আবাসস্থল বা ব্যবসা কেন্দ্র স্থানান্তর করতে বাধ্য করলে যুক্তিসংগত খরচাদি বিবেচনা করে সম্পত্তির ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করার নির্দেশনা রয়েছে।
ফলে উক্ত আইন অনুযায়ী অবকাঠামো স্থানান্তর ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ প্রদানে চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো সুযোগ নেই।
২০২৩ সালের ৩০ মার্চ ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ বাবদ ১৬৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জাপানি সংস্থা জাইকার অর্থায়নে এবং জাপানের পেন্টা ওশান ও তোয়া করপোরেশন যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় জেটি, টার্মিনাল ও কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। অক্টোবর ২০২৫ থেকে মাটি ভরাট, ওয়াল নির্মাণ ও অন্যান্য প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র পুলিশ আউটপোস্টের ইনচার্জ তৈয়বুর রহমান সভায় বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও জাপানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।
স্থানীয়দের যেকোনো দাবি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধানের পরামর্শ দেন তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, এনজিও, জনপ্রতিনিধি এবং প্রকল্পের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান এমপিসিটি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।