• সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাড়ছে রোগীর চাপ, নেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সেন্টমার্টিন উন্মুক্ত আজ থেকে সাড়া নেই পর্যটকদের নীতিনির্ধারণে নমনীয়তা ও নাগরিক দায়িত্বের ওপর প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ সীতাকুণ্ডে আলোচিত ভাবির হোটেলে অভিযান, ১০ হাজার টাকা জরিমানা চট্টগ্রামের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাইফুল ইসলাম মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর টার্মিনালের প্রাক্-প্রস্তুতির পূর্তকাজ আরম্ভ চট্টগ্রামের রাউজানে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত চট্টগ্রামে ব্যানার ছেঁড়া নিয়ে যুবদলের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ১০ জন বিমানবন্দরে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম মীরসরাই বাসীর ভাগ্য পরিবর্তনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী….. পারভেজ সাজ্জাদ

মীরসরাই সীমান্তে অবৈধপথে ঢুকছে ভারতীয় গরু

Reporter Name / ২৭১ Time View
Update Time : সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

 

জোরারগঞ্জ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

মীরসরাই উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের বাংলাদেশ ভারতী সীমান্তের দু’টি পয়েন্ট দিয়ে অবৈধ পথে অবাধে ডুকছে ভারতীয় গরু। অলিনগর এলাকার আমতলী ও বদ্ধ ভবানীর হরিঙ্গা টিলা দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া টপকিয়ে হরহামেশায় ঢুকছে এই সব অবৈধ ভারতীয় গরু। তারা এসব গরু সীমান্ত এলাকার দেশি গরুর সঙ্গে মিশিয়ে রাখেন। পরে এই পশু স্থানীয় বাজারে হাসিল কেটে অবৈধ গরুকে বৈধতা দেয়ার পর গরুগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত শনিবার করেরহাট ইউনিয়নের অলিনগর গ্রামের নলখো এলাকায় পিকআপে করে গরু ভর্তি করতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টার পেয়ে যে যার মত করে পুনরায় গরু নামিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করে।

সুত্রে জানা গেছে, অলিনগর এলাকায় বড় জাহাঙ্গীর ও ছোট জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। ছোট জাহাঙ্গীরের বাড়িতে গেলে দেখা যায় ৫০ লাখ টাকা দিয়ে একতলা বাড়ি করেছে অথচ পেশায় তিনি কৃষক। অন্যদিকে ৫ আগস্টের পরে এই দুজনের সাথে একই গ্রামের আরো বেশ কয়েকজন যুক্ত হয়েছে। এছাড়া বদ্ধ ভবানী দিয়ে ৪/৫ জন গরুর অবৈধ ব্যবসায়ের সাথে জড়িত বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অলিনগরের বড় জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা শুধুমাত্র গরু কেরিং করি। অলিনগর থেকে চিকনছড়া পর্যন্ত পৌঁছে দিলে প্রতি গরুতে আমরা ২ হাজার টাকা করে পাই। তার মধ্যে বিজিবি, পুলিশ, গাড়ি ভাড়া দেয়ার পর হাতে আর থাকে না। তারমধ্যে এখন বিএনপির নেতাদেরও টাকা দিতে হয়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, করেরহাট ইউনিয়নের কয়লাবাজার প্রতি রবিবার এবং ফটিকছড়ি ইউনিয়নের চিকনছড়া বাজারে প্রতি মঙ্গলবার গরু হাট বসে। ওই দুইদিন বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধ গরুর সমাগম ঘটে এবং হাসিল কেটে অবৈধ গরুকে বৈধতা দেয় বাজার ইজারাদার।

সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে রাতের আঁধারে অবাধে ডুকছে ভারতীয় গরু। এতে করে প্রান্তিক খামারিরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মীরসরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ১১শ’ গরু খামার রয়েছে। ১১শ’ গরু খামারে পশু রয়েছে ৯৫ হাজার ৯০০টি। খামারিরা দিন দিন খামার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। অবাধে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করা এই দেশের খামারিরা তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।

কয়লা বাজার ইজারাদার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা জানান, ভারতীয় গরু বাজারে আসে এটা শুনেছি। তবে আমরা কোথায় থেকে আসে না আসে সেটা দেখার বিষয় না। প্রতি বাজারে ৪০০-৫০০ গরু উঠে। প্রতি গরু হাসিল ৫০০ টাকা করে কাটা হয়।

অলিনগর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার শওকত হোসেন জানান, ভারতীয় গরু আসছে এরকম কোন তথ্য আমাদের কাছে নাই। তবে যদি আসে তাহলে আপনারা সহযোগিতা করুন আমরা তা প্রতিহত করবো।

ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি)-এর ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খাঁন বলেন, ভারতীয় গরু বাংলাদেশে ঢুকছে এরকম সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আমরা অবশ্যই অভিযান চালাবো। তবে অধিকাংশ সময় চোরাকারবারিরা ভুয়া তথ্য দিয়ে আমাদের বিচলিত করে। আমরা সর্বদা সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর মতো আছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *